আমরা মোটামুটি সবাই স্মার্টরফোনে স্কিন প্রটেক্টর লাগাই এবং নিশ্চিত থাকি যে এর ফলে আমাদের ফোন সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু আসলেই কি তাই! গবেষনা বলছে থার্ড পার্টির স্কিন প্রটেক্টর ব্যবহার করলে তা ফোনকে তো সুরক্ষাতো দেয়-ই না, বরং ক্ষতি করে।
জেএসনিউজ টাইমস এক গবেষনার বরাত দিয়ে জানায়- ‘স্মার্টফোনের স্ক্রিনের তলায় দুটি সেন্সর থাকে যেগুলোর নাম অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট এবং প্রক্সিমিটি। বাইরে গেলে রোদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্ক্রিনের ব্রাইটনেস স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ে বা কমে এই অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সরের সাহায্যে। বেশি রোদে বের হলে স্ক্রিন বেশি উজ্জল হয় যাতে সবকিছু ঠিকভাবে দেখা যায়। কম উজ্জ্বল স্থানে স্ক্রিনের ব্রাইটনেস স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমিয়ে দেয় এই সেন্সর। অন্যদিকে, লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কানে ফোন লাগিয়ে কথা বলার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্রিনের লাইট নিভে যায়। কানের সঙ্গে দূরত্ব বুঝে এই লাইট জ্বলে বা নেভে। এই কাজটি করে প্রক্সিমিটি সেন্সর।
অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট বা প্রক্সিমিটি ফোনের বাইরে থেকে দেখা যায় না।
তবে ফোনের কার্যক্রমে এদের অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু, স্ক্রিন-গার্ড লাগালে এ দুটি সেন্সর গার্ড হয়ে যায়। যার কারণে অনেক সময় স্ক্রিনের ‘টাচ’ কাজ করে না। তাছাড়া থার্ড পার্টি স্ক্রিন গার্ড ব্যবহারের ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ইন-ডিসপ্লে ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সরও কাজ করা বন্ধ করে দেয়।’
এ কারনে বিশেষজ্ঞরা মোবাইলে স্কিন প্রটেক্টর ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে যদি একান্ত ব্যবহার করতেই চান তাহলে, কোন ভাল ব্রান্ডের স্কিন প্রটেক্টর ব্যাবহার করতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি, যে কোম্পানির ফোন, সেই কোম্পানির স্কিন প্রটেক্টর ব্যাবহার করা। সেক্ষেত্রে স্কিন প্রটেক্টর সেভাবেই তৈরি হয় যাতে সেন্সর কোনভাবে আটকে না যায়। তাই ফোনেরও কোন ক্ষতি হয় না।