পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হওয়ায় ফরিদপুরের ৯ গ্রাম প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক মানুষ পনিবন্দি হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বর্তমানে গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৮.৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানিবন্দি গ্রামগুলো হলো- ফরিদপুর সদরের কাইমুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী, বরান বিশ্বাসের ডাঙ্গী, বাসের মোল্লার ডাঙ্গী, শুকুর আলী মাতুব্বরের ডাঙ্গী, আয়জদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী, চর বালুধুম, বাঘের টিলা, লালার গ্রাম ও নর্থ চ্যানেল।
উপজেলার ডিগ্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির বলেন, আমার ইউনিয়নের বেশিরভাগই চরাঞ্চল। স্বাভাবিক ভাবেই পানি বাড়ায় চরের মাঠ-ঘাট তলিয়ে গেছে এবং আউশ ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে।
ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুম রেজা জানান, এখনও বন্যা পরিস্থিতি খুব বেশি অবনতি হয়নি। পানিবন্দি এলাকাগুলোতে সচেতনতায় মাইকিং করাসহ তাদের শুকনো খাবার ও আশ্রয়ের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, পানি বৃদ্ধির বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। খোঁজখবর রাখতে বিভিন্ন উপজেলার ইউএনও, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোথাও জনমানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছ।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, নদনদীর পানি বৃদ্ধির ফলে পাঁচটি উপজেলার কয়েকটি স্থানে নদী পাড় ভাঙন বেড়েছে। ভাঙন ঠেকাতে আমরা চেষ্টা করছি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে প্রাথমিক প্রটেকশনের জন্য। পানি বাড়লেও জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ জেগে থাকবে। জেলার বন্যা পরিস্থিতির খুব অবনতি হবে না।