‘মাশরাফির আস্থায়, আমরা সবাই রাস্তায়’।
স্লোগানে বিক্ষোভ করেছেন ই-অরেঞ্জের গ্রহকেরা। আজ (শুক্রবার) বিতর্কিত এ ই-কমার্সের প্রতারিত গ্রহকেরা রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার দাবীতে তারা কিংবদন্তি ভাস্কর্যের সামনে বিকেল সাগে ৩ টায় জড়ো হন।
এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাবের বিরুদ্ধেও স্লোগান তুলছেন তারা।
অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের শুভেচ্ছা দূত ছিলেন মাশরাফি। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। তবে এরইমধ্যে ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। ই-অরেঞ্জের সঙ্গে চুক্তি শেষ হলেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর তিনি গ্রাহকদের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
একইসঙ্গে মাশরাফি এ-ও বলেন, ২০-৩০টা কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছি, কিন্তু সমস্যা হয়নি। এখন কোনো এক কোম্পানির জন্য বিজ্ঞাপন করলাম, কিন্তু তাদের পানির ভেতর যদি পোকা পান। তাহলে এটার সমাধান কী?
এদিকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আফজাল হোসেন নামের এক গ্রাহক বলেন, গতকাল (২৩ সেপ্টেম্বর) আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
ই-অরেঞ্জের এ গ্রাহক বলেন, টাকা ফেরতে সরকারের কোনো সদিচ্ছা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা ডিজটাল গেটওয়ের মাধ্যমে টাকা দিয়েছি ই-অরেঞ্জে। কিন্তু এখন সরকার বলছে, গ্রাহকের টাকার কোনো সঠিক হিসাব নেই। কেন নেই, এর কোনো জবাব আমরা পাইনি।
এসময় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা ‘ই-অরেঞ্জের প্রতারণা মানি না, মানবো না’, ‘মাশরাফির আস্থায় আমরা সবাই রাস্তায়’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় দুর্নীতির ঠাঁই নাই’-এসব স্লোগান দেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে লগ্নি করা টাকা ফেরত পাওয়া ও ই-অরেঞ্জের মালিক ওসি সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে মৎস্য ভবনের সামনে গ্রাহকদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে অন্তত ১০ জন ভুক্তভোগী আহত হন। এসময় তিনজনকে আটক করা হয়। সন্ধ্যায় আটকদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয় শাহবাগ থানা পুলিশ।