আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) এত দাদাগিরি কেন?
আজ শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন রাখেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাদের নাম জমা পড়েছে সেগুলো প্রকাশের দাবি জানিয়েছিল সুজন। একইসঙ্গে তারা প্রস্তাবকের নামও প্রকাশের দাবি জানায়। সার্চ কমিটি ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে। নিয়ম অনুযায়ী, সেখান থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে সার্চ কমিটি। সুজন দাবি করেছে, সেই ১০ জনের নামও আগেই প্রকাশ করতে হবে।
প্রস্তাবিত ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সুজন এরা কারা- এটি একটি এনজিও। এই এনজিওর সারাদেশে কোনো শাখাও নেই, প্রশাখাও নেই। এটা কয়েকজন ব্যক্তিবিশেষের একটা এনজিও। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তারা তহবিল সংগ্রহ করে চলে, এমনকি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকেও তারা একসময় তহবিল নিয়েছে। তারা কখনো নির্বাচন করে না, করবেও না। তারা যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছে, তাদের এত দাদাগিরি কেন? আর গণমাধ্যমও কেন এটি ফলাও করে প্রকাশ করে- সেটিও আমার প্রশ্ন।’
সার্চ কমিটির ক্ষমতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটি যে দশজন সিলেক্ট করবে আইন বলে এটি তাদের ক্ষমতা। সেটি প্রকাশ করবে কি করবে না একান্ত সার্চ কমিটির ব্যাপার। সেটির জন্য সুজন বলার কে ? সুজন কি নির্বাচন করে? নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুজন কি এখানে স্টেকহোল্ডার? এখানে যারা নির্বাচন করেন তারাই হচ্ছে স্টেকহোল্ডার। সুজনের এত দাদাগিরি কেন, সেটিই আমার বড় প্রশ্ন।