ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের কারণে আজিমপুর থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ আছে নিউমার্কেট এলাকার অন্তত ২০টি মার্কেটের দোকানপাট। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ কেনাকাটার ভর মৌসুমে এমন ঘটনা দুঃখজনক। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে তাদের ক্ষতি শত কোটি টাকা ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাত থেকে নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে রাতে পরিস্থিতি শান্ত হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, খুবই দুঃখজনক যে কেনাকাটার মৌসুমে এমন ঘটনা ঘটছে। ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না আমাদের কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে! তার পরেও আমরা কথা বলেছি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে। উনারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন বিকেলের মধ্যে মার্কেট খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। ঢাকা কলেজের কারও সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তারা তো যুদ্ধের মধ্যেই আছে।
তিনি আরও বলেন, নিউ মার্কেট এলাকায় চাঁদনিচক সহ ১৫ থেকে ১৬টি মার্কেট আছে। সেখানে দেড় লাখের বেশি ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন। এখন কমপক্ষে প্রতিদিন একশ কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের বিপরীত পাশের মার্কেটে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তারই জের ধরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই বছর করোনার কারণে ঈদের বেচাকেনা হয়নি। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবার ঈদকে কেন্দ্র করে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে নিউমার্কেট এলাকার সংঘর্ষের সমাধান না হলে তাদের শত কোটি টাকার লোকসান হবে। পাশাপাশি ঈদ কেন্দ্রিক বাণিজ্যে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।