অন্তর্বর্তী সরকার উপযুক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত তিন মাসে অন্তর্বর্তী সরকার কী কার্যকর ভূমিকা রেখেছে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সরকার ইতোমধ্যে অনেকগুলো কাজ করেছে এবং কাজ করছে। আমরা সবাই সরকারকে সহযোগিতা করি। আশা করি, তারা উপযুক্ত সময়ে নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে।”
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য সব সময় ষড়যন্ত্র করেছে, অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, প্রায় ৭০০ মানুষকে গুম করেছে। এরা গুম-খুন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে।”
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতা দ্বিতীয়বারের মতো এই দেশে আধিপত্যবাদকে ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তাদের পরাজিত করে জিয়াউর রহমানকে সামনে নিয়ে এসে তারা নতুন এক রাজনীতির সূচনা করেন। সেই রাজনীতি ছিল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের রাজনীতি, সেই রাজনীতি ছিল স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের রাজনীতি, সেই রাজনীতি ছিল বাংলাদেশের আধিপত্যবাদ, গণতন্ত্রের শত্রুদের পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি।”
৭ নভেম্বরের এই কর্মসূচিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমদ ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন–নবী খান ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক ও দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।