কঠোর লকডাউন এর দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর ঢাকার অলিতে গলিতে লোকজনের উপস্থিতি থাকলেও প্রধান সড়ক ছিল একেবারেই ফাঁকা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার নিউমার্কেট স্থান নীলক্ষেত এলাকায় নিত্যপণ্যের কিছু দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি ছিল অনেকটাই কম।
মানুষের উপস্থিতি কমাতে মনে পড়েছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ।পুলিশের চেকপোস্টের পাশাপাশি সেনাবাহিনী বিজিবি আনসার সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। যৌক্তিক কারণ না দেখাতে পারলে অনেককে পড়তে হয়েছে পুলিশের জেরার মুখে। কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টির মধ্যেও রাজধানী জুড়ে চলছে মোটরসাইকেল রিকশা এবং কিছু এম্বুলেন্স।
তবে বৃহস্পতিবার যতটা কড়াকড়াকড়ি ছিল, শুক্রবার টিএসসি, পলাশী, শাহবাগ এলাকা ঘুরে ততটা চোখে পড়েনি। আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ এলাকায় রাস্তার পাশে মাছ, সবজি বিক্রি হচ্ছে, মুদি দোকানও খোলা। প্রধান সড়কে পুলিশের ব্যারিকেড থাকলেও লকডাউনের প্রথম দিনের মত তল্লাশি নেই।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আজিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই দেলোয়ার হোসেন বলেন, “রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। আজিমপুর চৌরাস্তায় পানি রয়েছে। রাস্তাঘাটে চলাচল কম, বৃষ্টিতে কাজ সামান্য ব্যহত হলেও আমাদের অবস্থান রয়েছে।”
ধানমন্ডির শংকর মোড়ে সড়কের পাশের দোকানি আরিফ বললেন, “আমি সকাল ৮টায় বসেছি। লোকজন আসেনি তেমন। ছুটি তো, আবার বৃষ্টি। রাস্তায় ধরাধরিও আজ কম।”
সকালে মিরপুরের পল্লবী ও কালশী এলাকার জনব্যস্ততা একেবারেই ছিল না। প্রধান সড়কগুলোতেও যানবাহনের চলাচল ছিল হাতেগোনা। তবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কড়াকড়ি চোখে পড়েনি সেভাবে।
কালশী মোড়ে কিছু পণ্যবাহী গাড়ি ও প্রাইভেটকার দেখা গেলেও বৃষ্টির কারণে রিকশা কম বেরিয়েছে।
মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্প বাজারেও ক্রেতা ছিল হাতেগোনা। এ বাজারের সবজি বিক্রেতা আলমগীর বলেন, “কালকে অনেক বিক্রি হইছে। কিন্তু আজকে মনে হয় বৃষ্টিতে মানুষ বের হতে পারছে না। জুমার নামাজের আগে-পরে বিক্রি হইতে পারে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, এদিন ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে।