বাংলাদেশের অন্যতম ই-কমার্স সাইট ইভ্যালির আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন। গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া প্রায় ৩৩৯ কোটি টাকার খোঁজে দুদকের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীকে প্রধান ও সহকারী উপ-পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালামকে সদস্য করে অনুসন্ধানে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ জুলাই ইভ্যালির বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের চার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক।
চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “ইভ্যালি ডটকমের চলতি সম্পদ দিয়ে মাত্র ১৬.১৪ শতাংশ গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে বা অর্থ ফেরত দিতে পারবে। বাকি গ্রাহক এবং মার্চেন্টের পাওনা পরিশোধ করা ওই কোম্পানির পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়া গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে নেওয়া ৩৩৮.৬২ কোটি টাকার কোনো হদিস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, যা আত্মসাৎ কিংবা অবৈধভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে।”
দুদক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির সূত্র ধরেই অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। অনুসন্ধানে ই-ভ্যালি গ্রাহকদের কাছে অগ্রীম টাকা নিয়ে কী করেছে, তা জানার পাশাপাশি এসব অর্থ মানিলন্ডারিং করে কোথাও পাচার করা হয়েছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা করবে।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুদকের কাছে গ্রাহক পর্যায়ের কিছু অভিযোগ এর আগেও জমা পড়েছিল। তবে অভিযোগ গুলোতে সুনির্দিষ্টভাবে করে কিছু বলা ছিল না।