নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রী ‘ধর্ষণের শিকার’ হয়েছেন বলে অভিযোগ এসেছে।
এ ঘটনায় তিন জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতনের শিকার ওই নারী।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গত ২০ আগস্ট রাত ৯টার দিকে নির্যাতনের শিকার ওই নারী তার বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যান। জন্মদিনের কেক কাটার পর স্থানীয় লেদু মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী ফরহাদের (২৫) নেতৃত্বে ৫-৭জন লোক ওই বাড়িতে আসেন।
এসময় তারা অনুষ্ঠানে আসা গৃহবধূর সাথে রাজন নামে এক যুবকের ‘সম্পর্ক আছে’ বলে অভিযোগ তুলে। পরে তাদেরকে ফরহাদের বিল্ডিংয়ে নিয়ে আটক করে। একপর্যায়ে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। রাজন চাঁদা দিতে অস্বীকার করে বিভিন্ন জায়গায় ফোনে যোগাযোগ করলে কিছুক্ষণ পর তারা রাজনকে ছেড়ে দেয়। কিন্ত গৃহবধূকে আটকে রেখে কুপ্রস্তাব দেয় সন্ত্রাসীরা। তাতে রাজি না হওয়ায় রুমের দরজা বন্ধ করে সন্ত্রাসী ফরহাদ জোরপূর্বক তাকে ‘ধর্ষণ’ করে। এ সময় তার সাঙ্গপাঙ্গরা বাহিরে পাহারা দেয় বলে জানা যায়।
সেনবাগ থানার (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা সমকালকে জানান, এ ঘটনায় ধর্ষক ফাহাদকে প্রধান আসামিকে ৩ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। পুলিশ অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টেও পাঠানো হয়েছিল।
সূত্রঃ সমকাল