শ্রীলঙ্কার শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাগজ ও কালি না থাকায় পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যারা প্রশ্নপত্র ছাপায় তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা না থাকায় কাগজ এবং কালির জোগান মজুত করতে পারছেন না তারা। ফলে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া আপাতত উপায় নেই এমন মন্তব্যই করেছে শ্রীলঙ্কার শিক্ষা দফতরের এক কর্মকর্তা। মুলত কাগজ ও কালি আমদানি করে আনা হয়ে থাকে শ্রীলঙ্কায়।
শুধু কাগজের ক্ষেত্রেই নয়। খাবার থেকে শুরু করে জ্বালানি, এমনকি ওষুধপত্রের জোগানেও টান পড়েছে এশিয়ার এই দেশটিতে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, আর্থিক সংকট এবং মূলত বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ স্বল্পতাই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে সম্প্রতি এই কঠিন সংকট সংকট মোকাবিলায় সাহায্য চেয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের কাছে সাহায্য চান। তবে, সেখান থেকেও মেলেনি হ্যাঁ সুজক সাড়া। সংস্থাটি শুধু জানিয়েছে, বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে শ্রীলঙ্কার দেনা রয়েছে প্রায় ৬৯০ কোটি ডলার। ভয়ঙ্কর আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি দেশটিকে।
এই পরিস্থিতিতে সাধারণের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক। দেশজুড়ে খাবার এবং অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র মজুত করে রাখতে লম্বা লাইন দেখা গেছে দোকানের বাইরে। প্রবণতা দেখা দিয়েছে জ্বালানি মজুদ করারও।
প্রশাসন বাধ্য হয়েছে খরচ বাঁচাতে দিনের বেশ কিছুক্ষণ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার দিকেও ঝুঁকতে। খাদ্য সংকট যাতে বিপুল আকার না-ধারণ করে তার জন্য রেশনে গুঁড়ো দুধ, চিনি, চাল এবং ডাল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার।