1. admin@prottashanewsbd24.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০১ অপরাহ্ন

দাম কমবে যে সব পণ্যের (বাজেট ২২-২৩)

প্রত্যাশা নিউজ ডেস্ক
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০২২
সংবাদটি শেয়ার করুন:

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে-

কম্পিউটার সামগ্রীর মধ্যে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার ও অন্যান্য কম্পিউটার এবং আইসিটি পণ্যে ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় শিল্পের বিকাশে এ শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কম্পিউটার ও আইসিটি পণ্যের দাম কমতে পারে।

একই কারণে কমছে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের দাম। সমাজকল্যাণমূলক সেবা হিসেবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের পড়ার উপকরণ ব্রেইল মুদ্রণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব করা হয়েছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য কানে শোনার যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারির ওপর প্রযোজ্য শুল্ককর হ্রাস করার প্রস্তাব করায় কানে কম শোনার যন্ত্রের দাম কমছে।

শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত হুইল চেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সব ধরনের শুল্ককর বিলোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। মেডিটেশন সেবার ওপর বিদ্যমান মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এ সম্পর্কিত পণ্য ও সেবার দাম কমবে।

ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা পাচ্ছে দেশীয় গাড়ি তৈরির শিল্প। ফলে মোটরগাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের পাশাপাশি ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে দেশে তৈরি গাড়ি তুলনামূলক কম দামে মিলবে।

মুড়ি ও চিনির ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাজারে এ দুটি পণ্যের দাম কমতে পারে। বিদেশ থেকে আমদানি করা কাজুবাদামের ওপর শুল্ককর প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে দেশের কাজুবাদামের দাম কমবে।

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের শুল্ক ও ভ্যাট সুবিধা ভোগ করে আসছে। যেখানে আমদানি করা হ্যান্ডসেটের ওপর ৫৮ শতাংশ শুল্ককর প্রযোজ্য। ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও অ্যাসেম্বলড হ্যান্ডসেটের জন্য কর দিতে হয় যথাক্রমে ১৩ ও ১৮ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটেও এ সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। সেই হিসেবে আমদানি কর মোবাইলের তুলনায় আগামী অর্থবছরের তুলনামূলক কম দামে ফিচার ফোন (বাটন ফোন) মিলতে পারে।

গ্যালভানাইজড আয়রন শিট বা স্টিলজাত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত এইচ আর কয়েল এবং জিঙ্ক জাতীয় কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে করহার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন মন্ত্রী। ফলে কমবে স্টিলজাত পণ্যের দাম।

জুয়েলারি শিল্পের প্রসারে স্বর্ণ আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে স্বর্ণালঙ্কার আগের তুলনায় কম দামে মিলতে পারে।

শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শ্রবণসহায়ক যন্ত্রের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাজারে শ্রবণ যন্ত্র কম দামে পাওয়া যেতে পারে।

হুইল চেয়ারে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১০ শতাংশ অগ্রিম কর থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় কমতে পারে হুইল চেয়ারের দাম।

স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের ব্যয় সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ও টার্নওভার কর শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশের পরিবর্তে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ করায় আইটি সেবায় ব্যয় কমবে।

সব ধরনের পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ (ওভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ) ও মোড়কে কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে দেশের বাজারে এসব পণ্যের দাম কমবে।

এছাড়া শুল্ক কমানোর প্রস্তাবে দাম কমতে পারে পানির ফিল্টার, বিমানের জন্য ব্যবহৃত টায়ার।


সংবাদটি শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও সংবাদ

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব  সংরক্ষিত © প্রত্যাশা নিউজ বিডি ২৪ © ২০২১
Theme Customized BY Theme Park BD