1. admin@prottashanewsbd24.com : admin :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৮ অপরাহ্ন

প্রথম আলোর সাংবাদিক কে ‘সিআইডি’ তুলে নেয়ার অভিযোগ।

প্রত্যাশা নিউজ ডেস্ক
  • সময় : বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩
সংবাদটি শেয়ার করুন:

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সাভারের কর্মরত সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার ভাড়াবাসা থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় পুলিশ বলছে, তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না।

বাসাটির নিচতলায় মাকে নিয়ে গত এক বছর ধরে ভাড়া থাকেন শামসুজ্জামান। তিনি হলি আর্টিজান হামলায় নিহত সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল করিমের ছোট ভাই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভোর ৪টার দিকে তিনটি গাড়িতে মোট ১৬ জন শামসুজ্জামানের বাসার সামনে যান। তাদের মধ্যে ৭-৮ জন বাসায় ঢোকেন। একজন শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইলফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যান। বাসায় ১০-১৫ মিনিট অবস্থান করার পর তাকে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় যান তারা। বটতলার নূরজাহান হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন, একজন নিরাপত্তা প্রহরী ও শামসুজ্জামানসহ মোট ১৯ জন ব্যক্তি সেহেরি করেন। ভোর পৌনে ৫টার দিকে বটতলা থেকে তারা আবার শামসুজ্জামানের বাসায় যান।

সিআইডির পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিদের ব্যবহৃত দুইটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো চ ৫৬-২৭৪৭ এবং ঢাকা মেট্রো জ ৭৪-০৩৩১। আরেকটিতে কোনো নম্বরপ্লেট দেখা যায়নি।

দ্বিতীয়বার বাসায় যাওয়ার সময় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু মন্ডল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় খবর পেয়ে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ।

ওই সাংবাদিক জানান, শামসুজ্জামানের বাসায় এসে জব্দ করা মালামালের তালিকা করেন সিআইডির পরিচয়ে আসা ব্যক্তিরা। এ সময় শামসুজ্জামানকে জামাকাপড় নিতে বলা হয়। কক্ষের ভেতরে দাঁড় করিয়ে তার ছবিও তোলা হয়। ৫-৭ মিনিটের মধ্যে আবার তারা বের হয়ে যান।

বাসা তল্লাশির সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন উপস্থিত ছিলেন।

শামসুজ্জামানকে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাসার মালিককে ডাকেন একজন। তাকে জানানো হয়, শামসুজ্জামানের করা একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে রাষ্ট্রের আপত্তি আছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বাসার মালিক ফেরদৌস আলম বলেন, ‘আনুমানিক ভোর ৪টায় কেউ একজন বাসার কলিং বেল বাজান। এ সময় নিচে নামলাম। তখন তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন শামসুজ্জামান এ বাসায় থাকেন কিনা? বললাম, হ্যাঁ এখানে থাকেন। এরপর গেট খুলে তাদের ভেতরে আসতে দিই। এ সময় তারা ছয়-সাত জন সদস্য ছিলেন। তাদের একজন পুলিশের পোশাক পরা ছিলেন। এরপর শামসুজ্জামানকে ডেকে তুলি। তারপর দেখলাম তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার পরিচিত। কী হয়েছে জানতে চাইলে তারা জানান, তার করা রিপোর্ট নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। আমি আর কিছু বলিনি। এরপর তার কক্ষে থাকা ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো জব্দ করে তাকে নিয়ে যায় তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনার সময় একজন সংবাদকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শামসুজ্জামান তার মাসহ এই বাসায় এক বছর ধরে ভাড়া থাকেন। এ ঘটনার সময় তার মা বাসায় ছিলেন না।’

তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় কতগুলো গাড়ি ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমার বাসার কাছে গাড়ি আসেনি, তাই এ বিষয়ে বলতে পারবো না।’

এ বিষয়ে শামসুজ্জামানের ভাবী রাজধানীর হলি আর্টিজান হামলায় নিহত পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার রবিউলের স্ত্রী উম্মে ইসলাম বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে বিষয়টি জানতে পেরেছি। কী কারণে তাকে নিয়ে গেছে, কী তার অপরাধ কিছুই জানি না। গতকালও শামসুজ্জামানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তখনও এ বিষয়ে শামসুজ্জামান আমাকে কিছু বলেনি।’

আশুলিয়া থানার এসআই রাজু মন্ডল বলেন, ‘সিআইডি ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। তবে কাকে নিয়ে গেছে বা কেন নিয়ে গেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’


সংবাদটি শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও সংবাদ

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব  সংরক্ষিত © প্রত্যাশা নিউজ বিডি ২৪ © ২০২১
Theme Customized BY Theme Park BD