তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক চয়ন কুমার মণ্ডল, হয়েছেন সদ্য ঘোষিত নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। এ নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, শুধু তথ্য গোপনই নয় চয়ন কুমার মণ্ডলের নামে নগরকান্দা থানায় চুরি, মারধর, হত্যাচেষ্টা ও নাশকতাসহ অন্তত তিনটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সে চার্জশিটভুক্ত আসামি। এতোগুলো মামলা থাকা পরও তিনি কিভাবে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হলেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
সূত্র জানায়, চয়ন কুমার ভাঙ্গা সরকারি কে এম কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। চলতি বছরের এপ্রিলে ভাঙ্গা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিতে ১১নং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় তাকে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান বলেন, চয়ন ভাঙ্গা কলেজের প্রভাষক রঞ্জিত কুমার মণ্ডলের ভাতিজা। সেই সুবাদেই তাকে রাজনীতিতে এনেছি। সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়েছি। ছাত্রদলের রাজনীতিতে সে সক্রিয়। এমনকি গত কয়েক মাস আগে কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে সে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছে। বর্তমানে চয়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। তবে তিনদিন আগে শুনলাম সে উপজেলা নগরকান্দা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। এতে বিস্মিত হয়েছি। এ বিষয় তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে নগরকান্দার ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলেন, শুধু ভাঙ্গা কলেজই নয়, চয়ন ভাঙ্গা উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের প্রতিটি মিটিং-মিছিলেও উপস্থিত থাকতেন। যদিও তিনি ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য ফরমও পূরণ করেননি। ছাত্রলীগের কোন কমিটিতেও তার না নেই। তবুও তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার আমরা অবাক হয়েছি। কোন অদৃশ্য শক্তির জোরে তিনি সভাপতি হলেন সেটা বুঝে উঠতে পারছি না।
এ বিষয়ে চয়ন কুমার মন্ডল জানান, এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমার নামে কোনো মামলা নেই। আর আমি আজীবন ছাত্রলীগ করেছি, ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি ও ছাত্রদলের চয়ন এক ব্যক্তি নই।
নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরান বলেন, ছাত্রলীগের এ কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে সাবেক কোনো নেতার পরামর্শ নেয়া হয়নি। কমিটি ঘোষণার পর জানতে পারলাম ছাত্রদলের রাজনীতি করা চয়নকে সভাপতি করা হয়েছে।
তবে কমিটি ঘোষণাকারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, চয়ন ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না জেনেও চাপে পড়ে তাকে কমিটির সভাপতি করতে বাধ্য হয়েছি। তবে কিসের চাপ, তা তিনি স্পষ্ট করে বলতে রাজি হননি।