দিনে দিনে দেশে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় পবিত্র ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে চলমান বিধিনিষেধে কা্য়কর থাকলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আসতে পারে শীতিলতা। পশু কেনাবেচার কার্যক্রমের জন্য এ চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।
সেই সঙ্গে দোকান,শপিংমল ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনও চালু হতে পারে। তবে সবকিছু জানা যাবে আগামী ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার)।
উল্লেখ্যরযে, আগামী ২১ জুলাই উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ-উল- আযহা।
রোববার (১১ জুলাই) গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা যদি সংক্রমণ কমাতে চাই তবে এ প্রক্রিয়াটি (বিধিনিষেধ) আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে বিভিন্ন পর্যায়ে। আমাদের কোরবানির হাট আছে। এই দুটি বিষয় কীভাবে সমন্বয় করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব, সেটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। আমরা হাটগুলোতে কতটা নিয়ন্ত্রিত উপায়ে করতে পারি সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে কেউ যাতে কর্মস্থল ত্যাগ না করেন সেই নির্দেশনা দেয়া হবে। ঈদের মধ্যে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ থাকবে। কারণ গত ঈদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। মানুষ বাড়ি যাওয়ায় গ্রামে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রাম এখন আর নিরাপদ নয়।’
অনেকগুলো বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে সরকার কাজ করছে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য যেমন করেই হোক করোনা নিয়ন্ত্রণ করা।’
‘হাঁটে কেউ আসলে যাতে একা আসা যায়, হাটে যাতে বেশিসংখ্যক মানুষ না আসে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানুষ যাতে দ্রুত হাট থেকে বেরিয়ে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থাও থাকবে।’
আগের সব পরিস্থিতির চেয়ে এবারের ঈদ বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেক ধরনের পরামর্শই আছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমরা মিটিং করবো। কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শ নেব।’
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) বিধিনিষেধের পরবর্তী প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এবার ৭৫ শতাংশ পশু ডিজিটালি বিক্রির চেষ্টা করা হবে। ওয়েবসাইটগুলো সক্রিয় করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ফিজিক্যাল হাট তো থাকতেই হবে। কারণ সমাজের সব ধরনের মানুষের তো আর ডিজিটাল অ্যাকসেস নেই। আমরা চাচ্ছি দরকষাকষিটা যাতে কম হয়, সেই ব্যবস্থা করতে। মানুষ যাতে ঝটপট গরু কিনতে পারে।’