যে আটদিন শাটডাউন থাকবে না, সেই আট দিন কুরবানীর পশুর হাট বসবে, মানুষ অবশ্যই সেলিব্রেট করবে আত্নীয় বাড়ি যাবে। ফলে প্রতিটি কোনায় কোনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে যাবে। একটা কমিউনিটিতে একটি বাড়িতে ভাইরাস গেলে সেই এলাকা লকডাউন করার পরেও ছড়াবে। কারন মানুষ আশেপাশে বের হবে, বাসার সামনের দোকানে যাবে। তাহলে পুরো হাটাবাজার খুলে গনপরিবহন চালু করে ৮ দিন পুরোপুরি সার্কুলেশন এর জন্য যথেষ্ট।
এরপরে ২৩ তারিখ থেকে কঠোর লকডাউন দেয়ার সিদ্ধান্ত হইল লুঙ্গি খুলে মাথা ঢেকে পশ্চাদদেশ উদলা রেখে ইজ্জত রক্ষার চেষ্টা। আমার মতে এই অবস্থার পরে ৮ দিন সব খোলার পরে কোন লকডাউন কার্যকর হবে না বরং ভাইরাস উপরর্যুপরি সর্বত্র ছড়িয়ে যাবে। ফলে লকডাউন দিয়ে দেশের চরম আর্থিক ক্ষতি না করে বেশি করে ফিল্ড হাসপাতাল করে সব ছেড়ে দিন। রাস্তায় মাস্ক ছাড়া বের হলে প্রথমবার একটা সিস্টেমে ফিঙ্গার দিয়ে রেজিষ্টার করে নিন আর তাকে ৫টা মাস্ক দিন। এরপরে আবার সামনে পড়লে ফিঙ্গারে যদি আগের রেকর্ড আসে তাহলে জরিমানা করে দিন। বাংলাদেশে আনুমানিক ৬ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ এখন শ্রমবাজারে যুক্ত, যত দ্রুত সম্ভব এই ৬-৭ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিন।
অষ্ট্রেলিয়াতে মাত্র ৪০+ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ডিডেক্ট হওয়ার পরে আজ প্রায় ৩ সপ্তাহ লকডাউনে এখনো প্রতিদিন বাড়ছে!! ভারত কোন কিছু করে এটা ঠেকাতে পারে নি। টর্নেডোর মত জিনিস, যেখান থেকে যাবে সেটা শেষ করে যাবে।
স্বল্প সংখ্যক কেস থাকাকালীন লকডাউন দিলে সেটা কজ করে। কিন্তু এভাবে অবান্তরভাবে লকডাউন দেয়া বার খোলা নামক গেম খেলে কোন কাজ হবে না বরং এইটা ইনসেন কাজকাম। আর লকডাউনে দেশের যে আর্থিক ক্ষতি হবে তার জন্য আরো কত মানুষকে দরিদ্র সীমার নিচে চলে যেতে হবে সেই ধারনা আপনাদের নেই। ম্যানুপুলেটেড ডেটা আর বাস্তব বড়ই নির্মম। বুদ্ধি না থাকলে তাকে ধরা খেতেই হবে, বুদ্ধি জিনিসটা খুব জরুরী।
মোঃ বদিউজ্জামান
পিএইচডি (এনএসডব্লিউ)
ডিরেক্টার: ম্যানগ্রোভ এ্যাপারেলস
এক্সিকিউটিব ডিরেক্টার: ম্যানগ্রোভ ইনিস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি