শরিয়া আইন মেনে আফগানিস্তানে সরকারে অংশ নিতে পারবে নারীরা। এমনটি জানিয়েছেন তালেবান সাংস্কৃতিক কমিশনের প্রধান এমানুল্লাহ সামাগনি। কাতার ভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে এমানুল্লাহ বলেন, নতুন তালেবানি শাসনে নারীদের ওপর অত্যাচার চলুক, আমরা চাই না। সবকিছু পরিচালিত হবে শরিয়তের আইন অনুসারে। শরিয়া আইন মেনে নারীদের সরকারে অংশ নেওয়া উচিত।
নারীরা প্রশাসন ও সরকারে অংশ নিতে চাইলে তাদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সমস্ত বৃত্তের প্রতিনিধিকে প্রশাসনে চাইছি।
তালেবাননের এই নেতা আরও জানান, সরকার কাঠামো নিয়ে নিয়মের খসড়া এখনও তৈরি হয়নি। তবে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ইসলামি নেতৃত্বে সবকিছু গড়ে তোলা হবে। সব পক্ষকেই এতে অংশ নেওয়া উচিত।
রোববার রাজধানী কাবুল দখল নেওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে নারীদের পরিস্থিতি নিয়ে বারবার উদ্বেগের কথা উঠে এসেছে। নোবেল জয়ী মালালা ইসুফজাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নারী স্বাধীনতা নিয়ে।
এছাড়া আফগান প্রশাসনিক পদে থাকা বা নারীদের বিভিন্ন কাজে অংশ নেওয়ার ব্যাপা্রেও উদ্বেগ তৈরি দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আবার ফিরবে সেই অত্যাচারের দিন। তবে তালেবান বলছে, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। নারীর অধিকার সুরক্ষিত হবে।