বিশিষ্ট নাগরিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে ছাত্রলীগে ও মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের হুমকির নিন্দা জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।

গতকাল (শনিবার) এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ও তাদের একটি সহযোগী সংগঠন আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে যে বিদ্বেষমূলক ও আক্রমণাত্মক ভূমিকা দেখাচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি।’ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এমন আক্রমণাত্মক অবস্থান দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আসিফ নজরুলের চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতার স্পষ্ট লংঙ্ঘন, যা মানুষের মৌলিক অধিকার চর্চার প্রতি প্রত্যক্ষ হুমকি ও মত প্রকাশের বিরুদ্ধে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির নিন্দনীয় অপচেষ্টার অংশ। অধ্যাপক আসিফ নজরুলের ফেসবুক পোস্ট সম্পর্কে যে কেউ ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন। তবে তা করতে হবে নিয়মতান্ত্রিক ও শোভনপন্থায়, আক্রমণাত্মকভাবে নয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও ড. মুস্তাফিজুর রহমান, আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সারা হোসেন, সালমা আলী, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ূয়া, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক ফেরদৌস আজিম, মানবাধিকার কর্মী শারমীন মুরশিদ, ড. জোবায়েদ নাসরিন প্রমুখের নাম রয়েছে।