তালেবান যোদ্ধারা কাবুল দখলের পর অনেকে ধারনা করেছিলেন প্রতিশোধের নেশায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালাবে তারা। কিন্তু বাস্তবে তালেবান যোদ্ধারা করলো ভিন্ন আচরন। শুরুতে সকলের জন্য সাধারন ক্ষমা ঘোষনা এরপর নারিদের কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান যেন এক নতুন তালেবানকে দেখলো পুরো বিশ্ব।
ইতিমধ্যে ‘মেয়েরাও স্কুলে যেতে শুরু করছে ‘ এমন একটি ভিডিও টুইট করে রিতিমত হইচই ফেলে দিয়েছে তারা। ক্রমে মানুষের আস্থা অর্জন করছে তারা। “ধারনার চেয়ে স্বাভাবিক ” পরিস্থিতির কারনে হাজার হাজার আফগান নাগরিক বাড়ি ফিরে গেছেন, এমনটি জানিয়েছেন ন্যাটোর এক কুটনৈতিক। আজ মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি এ কথা জানান।
তবে তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পাওয়া তথ্য ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তেমন একটা ভরসা করা যায় না। তিনি বলেন, ৩১ আগস্টের সময়সীমার মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যেকার শান্তি আলোচনা অনুযায়ী আগামী সাত দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৩১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর সব সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট তালেবানদের হাতে কাবুল পতনের পর এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার মানুষকে ফিরিয়ে এনেছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৮০০ মার্কিন সেনা এখনও কাবুলে রয়েছে বলেও জানান তিনি। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশেরও সেনারা কাবুলে রয়েছে।
তালেবান যোদ্ধারা কবুল দখলের পর থেকে বহু আফগান দেশত্যাগের জন্য কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় জমাচ্ছেন। তাঁদের বেশিরভাগই টানা দুই দশকের যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনাদের সঙ্গে বিভিন্ন কাজে জড়িত ছিলেন।