ভরকের তিস্তা ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়ার কারনে ভায়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে এাের পর এক জনপদ। পনিবন্দি হয়ে পড়েছেন লালমনিরহাটের ৩ উপজেলার অর্ধলক্ষ পরিবার। জারি করা হয়েছে রেডএর্লাট।
পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত থেকে তিস্তার পানি বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় ওই পয়েন্টে ৫৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপরে। তিস্তার পানি ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধ উপজেলার গড্ডিমারী, পাটগ্রামের দহগ্রাম, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জের ভোট্মারী, শৈলমারী, নোহালীসহ তীরবর্তী এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করে ১০ হাজার পরিবার কার্যত বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউ দৌলা বলেন, উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ভারতের গজলডোবার ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। তাই তিস্তাপাড়ের মানুষদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, ভারতে ভয়াবহ বন্যার কারণে বুধবার (২০ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ করে ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। সকাল ৬টায় ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র ব্যারেজের মূল পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। যে কোনো সময় পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তিস্তার পানি বাড়ার বিষয়টা আমরা জেনেছি। পানিবন্দি পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সহায়তা আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করছেন।