শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে অন্যের বউ নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে রাসেল আহাম্মেদ নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রাসেল ভেদরগঞ্জ থানার চরভাগা ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) শরীয়তপুর আদালতে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর স্বামী। তার বাসা ৩ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ তোলেন তিনি।
বিবাহিত রাসেল আহাম্মেদ (৩২) থানার চরভাগা ইউনিয়নের গৌরঙ্গবাজার এলাকার বাসিন্দা।
পালিয়ে যাওয়া ওই গৃহবধূ কেয়া আক্তার (২৩) সখিপুর ইউনিয়নের রাড়ী কান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার ৪ বছর বয়সী একটি ছেলে আছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৬ সালে সখিপুরের ডিএমখালী ইউনিয়নের এক যুবকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সখিপুর ইউনিয়নের রাড়ী কান্দি গ্রামের কেয়ার। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৪ বছর বয়সী ছেলে আছে। কেয়া হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজে পড়াশোনা করেন। সে সুবাদে কলেজের নিম্নমান সহকারী রাসেল আহাম্মদের সঙ্গে কেয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
১৭ অক্টোবর সকালে সখিপুর এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা রাসেল আহাম্মদ প্রেম করে বিয়ে করা তার স্ত্রীকে রেখে কলেজ ছাত্রী কেয়া আক্তারকে নিয়ে পালিয়ে যান। তারা এখনো নিখোঁজ আছেন। ওই ঘটনার পর ১৯ অক্টোবর কেয়া আক্তারের মা হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাশার আল আজাদ বলেন, রাসেলকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে তার স্ত্রী ও মা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমিও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। পরে জানতে পারি কলেজের ছাত্রী কেয়াকে নিয়ে রাসেল পালিয়েছে। কলেজ গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাসেলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কেউ থানায় এসে অভিযোগ করেনি। শুনছি আদালতে মামলা হয়েছে।