বহুল আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। এতে ওসি প্রদীপ ও পুলিশের বরখাস্তকৃত এসআই লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন।
আদেশে এপিবিনের তিন সদস্যসহ ৭ জনকে বেকুসুর খালাস ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া আসামীরা হলে, নন্দ দুলাল রক্ষীত, রুবেল শর্মা, আয়াজ, সাগর দেব, নুরুল আমিন ও নিজাম উদ্দিন।
খালাস পেয়েছেন, লিটন মিয়া, ছাফানুল করিম,কামাল হোসাইন আজাদ,শাহাজাহান আলি,আবদুল্লাহ,রাজীব হোসাইন ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
২০২০ সালের ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য, প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর ২০২০ সালের ২৪ জুন চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আত্মসমর্পণ করলে এ মামলার ১৫ আসামিই আইনের আওতায় আসেন।
গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা দায়ের করে।
ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।