নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় খুবজিপুর ইউনিয়নের বিলশা গ্রামে কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক করে একই গ্রামের মোঃ আজিজুল প্রমানিকের ছেলে মেহেদি হাসান মুন্না। এখন বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় মুন্নাকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিল মেহেদী হাসান মুন্না। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা মেয়েটি নিয়ে গিয়ে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক করে মুন্না।
বুধবার রাতে ৯টার দিকে ছেলেটি কলেজ ছাত্রীর বাসা আসলে মেয়েটির আত্বীয়স্বজন বিয়ে করতে বলে। এ সময় ওই যুবক বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত চলে দেন দরবার। শেষ পর্যন্ত কলেজ ছাত্রীর আত্বীয়স্বজন ও স্থানীয়রা যুবককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মতিন জানান, এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। সেই মামলায় মুন্নাকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।