ছুটির দিন হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গণপরিবহনের তুলনায় ব্যক্তিগত এবং মালবাহী যানবাহনের চাপ বেশি। ফলে নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি কাজে বের হওয়া যাত্রীরা।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে এমনই চিত্র চোখে পড়ে। নারায়ণগঞ্জ অংশের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানবাহনগুলো থেমে থেমে চলাচল করছে। আর সোনারগাঁয়ের চৈত্রী গার্মেন্ট থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। এ পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে।
এদিকে মহাসড়কের পাশের পাম্প স্টেশনগুলোতেও যানবাহনের প্রচুর চাপ দেখা গেছে। যানবাহনের চাপে টোল নিতে গিয়ে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আলমগীর হোসেন নামে ট্রাকের এক চালক বলেন, হরতাল-অবরোধে অনেক জায়গায় বাস-ট্রাক পুড়িয়ে দেয়। এ কারণে আমরা ভয়ে মহাসড়কে বের হই না। আজ যেহেতু হরতাল নেই তাই মালামাল পৌঁছে দিতে বের হয়েছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের অত্যাধিক চাপ আছে। তবে মহাসড়কে কোথাও যানজট না থাকলেও টোলপ্লাজায় টোল নিতে দেরি হওয়ায় গাড়ির চাপ চৈত্রী গার্মেন্ট এলাকায় চলে এসেছে। আশা করছি দুপুরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।